মাহফুজ রাজা, স্টাফ রিপোর্টার
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব অষ্টমীস্নানে লাখো পূণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। ভগবানের কৃপা ও পাপমুক্তির আশায় শিশু ও বৃদ্ধরাও বাদ যায়নি স্নানোৎসবে অংশ নিতে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) ভোর থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত হোসেনপুর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অষ্টমী স্নানোৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ হোসেনপুর উপজেলা শাখা ও পৌর শাখা।
অষ্টমী স্নান পরিদর্শন করেন-হোসেনপুর
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাহিদ ইভা, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মারুফ হোসেন, হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মবিন, পৌর বিএনপির আহবায়ক একেএম শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মানছুরুল হক রবিন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমল চন্দ্র দেব জগাই, সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার সরকার, পৌর পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবল চন্দ্র বনিক (তাপস), উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক উজ্জ্বল কুমার সরকার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাপস দেবনাথ প্রমুখ।
অষ্টমী স্নান উপলক্ষে হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মবিনের উদ্যাগে পুণ্যার্থীদের মাঝে খাবার পানি ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়।
অষ্টমী স্নান উপলক্ষ্যে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর, ঐতিহ্যবাহী কুলেশ্বরী বাড়ী ও কাচারী মাঠ ও রামপুর বাজারে বসে অষ্টমীর মেলা। মেলায় দোকানিরা নানা খেলনা, মিষ্টি জাতীয় খাবার ও বাহারি গ্রামীণ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। অষ্টমীর স্নানোৎসব ও মেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার সর্বত্রই উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
কিশোরগঞ্জ সদর থেকে অষ্টমী স্নানে আসা শ্রীপা সরকার বলেন, প্রতিবছরই এখানে স্নান
করতে আসি। এবারও একটি সুন্দর আয়োজন হয়েছে। এখানে অনেক মানুষ স্নান করতে আসেন।'
কিশোরগঞ্জ জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার জানান, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী গীতাপাঠ, মাল্যজপ, ধ্যান, প্রসাদ বিতরণ, হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যদিয়ে পূণ্যার্থীরা স্নানোৎসব সম্পন্ন করেন। জেলার ১৩টি উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ থেকেও পূণ্যার্থীরা অংশ নেন উৎসবে।
হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাহিদ ইভা জানান, 'সুন্দর ও উৎসব মুখর পরিবেশে অষ্টমী স্নান উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। গতবছরের তুলনায় এবার বেশী পুণ্যার্থী এসেছে।'